সোমবার বিকালে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব নাম ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দলীয় সূত্র জানায়, শরিক ও সহযোগী দলের নেতাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে উৎসাহ দিতে বিএনপি এবার কিছু আসনে কৌশলগত সমঝোতার ভিত্তিতে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দিয়েছে। এর ফলে জোটের অন্তত ১২ নেতার মনোনয়ন নিশ্চিতের পথ সুগম হয়েছে।
‘গ্রিন সিগন্যাল’ পাওয়া উল্লিখিত নেতারা হলেন—
পিরোজপুর-১ : জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার
বগুড়া-২ : নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না
ঢাকা-১৭ : বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ
লক্ষ্মীপুর-১ : এলডিপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম
কিশোরগঞ্জ-৫ : বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা
ঢাকা-১৩ আসনে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি
চট্টগ্রাম-১৪ আসনে এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদের ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুক
কুমিল্লা-৭ আসনে দলটির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ
নড়াইল-২ আসনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ
পটুয়াখালী-৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর
ঝিনাইদহ-২ আসনে দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান
আওয়ামী লীগবিরোধী বৃহত্তর প্ল্যাটফর্ম গঠন ও মাঠপর্যায়ে বিরোধী সমর্থকগোষ্ঠীকে সংগঠিত করতে এই সমন্বয়কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
মনোনয়ন তালিকা ঘোষণার পর থেকেই বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। দলের ত্যাগী ও দীর্ঘদিন মাঠে সক্রিয় অনেক নেতা তালিকায় নাম না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে দলীয় উচ্চপর্যায়ের দাবি, কৌশলগত সমন্বয়ের কারণে আরও কয়েক দফায় তালিকা হালনাগাদ হতে পারে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, “সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিত, বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গঠন এবং আন্দোলনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই প্রার্থী চূড়ান্ত করা হচ্ছে। দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।”
দলীয় সূত্র আরও জানায়, বাকি আসনগুলোতে শরিকদের দাবি ও মাঠপর্যায়ের সমীকরণ বিবেচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পর্যবেক্ষকদের মতে, এ তালিকা বিএনপির নির্বাচনী কৌশলের একটি কৌশলগত বার্তা, যা বিরোধী শক্তিকে এক ছাতার নিচে সমবেত করার ইঙ্গিত বহন করে।