মোবারক আলী, রানীশংকৈল প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কৃষি অফিসের দিনমজুর শামসুল হক এলাকার মানুষের কাছে পরিচিতি “কৃষি অফিসার” হিসেবে। তবে শূন্য থেকে শুরু করে তিনি অঢেল সম্পদ সঞ্চয় করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হোসনেগাঁও ইউনিয়নের ভুকুরগাঁও উজধারী গ্রামের আব্দুল রাজ্জাকের ছেলে শামসুল হক, কৃষি অফিসে প্রায় ৭ বছর ধরে ৫শ’ টাকা দৈনিক মজুরী হিসেবে কাজ করছেন। কিন্তু তিনি এলাকার অনেকের কাছে কৃষি অফিসার পরিচিত। তিনি নিজের ও ভাইদের নামে ৩টি পাকা বাড়ি নির্মাণ করেছেন। বাড়িতে রয়েছে একটি সোলার সেচ পাম্পসহ ১৯টি কৃষি কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি—যেমন ১২টি ধান রোপণ মেশিন, ৩টি সরিষা মাড়াই মেশিন, ৩টি ধান কাটা মেশিন, এবং একটি কেঁচো সার উৎপাদনের মেশিন।
শামসুল হকের মা আনজুয়ারা বেগম বলেন, “এই মেশিনগুলো কৃষি অফিসের মাধ্যমে আমরা ব্যবহার করি। আগে আমাদের অবস্থা ভালো ছিল না, এখন আমাদের ৭ বিঘা আবাদি জমি হয়েছে।”
মুঠোফোনে শামসুল হক বলেন, “আমি কৃষি অফিসে দিনমজুর হিসেবে কাজ করি। নিজের জমি নেই। মেশিনগুলো বিভিন্ন এলাকায় কৃষি কাজের জন্য ভাড়া হিসাবে ব্যবহার করি। সরকারি প্রণোদনা নিতেও আমার ভাইদের নাম ব্যবহার করি।”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম জানান, “শামসুল আগে থেকেই দিনমজুর হিসেবে অফিসে কাজ করে। উজধারী মধ্যপাড়া এলাকায় সবজি ও ফসল সমিতি রয়েছে। এজন্য তার বাসায় মেশিনগুলো রাখা হয়েছে।”
স্থানীয়রা আশ্চর্য হয়ে বলেন, “কৃষি অফিসে দিনমজুর হিসেবে থাকা শামসুল হক কীভাবে এত সম্পদ অর্জন করেছেন তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন থাকলেও তিনি এলাকার মানুষদের কাছে ‘কৃষি অফিসার’ হিসেবে পরিচিত।”