জাগরণ বিডি ডেস্ক: বিএনপির ঘোষিত নীতির প্রতিফলন ঘটিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এক পরিবার থেকে একাধিক ব্যক্তিকে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বহু আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন—“এক পরিবারে একাধিক মনোনয়ন দেওয়া হবে না, সে যেই হোক”—আর সেই কথায় অবিচল থেকেছে বিএনপি।
এই নীতির প্রভাবে এবার মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন—দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ছোট ভাই মির্জা ফয়সাল আমিন
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস
স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছেলে খন্দকার মারুফ হোসেন
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মেয়ে অর্পণা রায়
স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর স্ত্রী রুমানা মাহমুদ
স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ
উপদেষ্টা নিতাই রায় চৌধুরীর মেয়ে নিপুণ রায় চৌধুরী
দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা আমান উল্লাহ আমানের ছেলে ইরফান ইবনে আমান
এছাড়াও মনোনয়ন তালিকায় জায়গা পাননি আরও কয়েকজন আলোচিত নেতা—
সেলিমা রহমান, শামসুজ্জামান দুদু, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আসলাম চৌধুরী, মেসবাহুর রহমান, হোসনেয়া মওদুদ, হাবিব উন নবী খান সোহেল, নাজিম উদ্দিন আলমসহ আরও অনেকে।
দলীয় সূত্র বলছে, বিএনপি নেতৃত্বের লক্ষ্য—পরিবারতন্ত্র নিরুৎসাহিত করা, নতুন নেতৃত্বকে সামনে আনা এবং জনআস্থার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি দলটির ঐতিহাসিক ও সাহসী সিদ্ধান্ত, যা দীর্ঘদিন ধরে আওতাবদ্ধ পরিবার-নির্ভর রাজনীতির বিরুদ্ধে একটি শক্ত বার্তা।
তবে ত্যাগী, অভিজ্ঞ নেতাদের বাদ পড়ায় নিরাশ হওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন নেতাকর্মীরা। তাদের ভাষায়—
রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই; সুযোগ ও সময় সবসময় ঘুরে আসে।
তারেক রহমান ও বিএনপি কথা দিয়ে কথা রেখেছে—নেতাকর্মীদের মাঝে এমন সন্তোষও প্রকাশ পেয়েছে।