
সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আগামী নির্বাচন অর্থপূর্ণ করার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে ছোটখাটো ভিন্নতা ও দূরত্ব দূর করে সকলের অংশগ্রহণে আগামী নির্বাচন “একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আওয়ামী লীগ ১৫ বছরে যে গার্বেজ তৈরি করে গেছে, যে জঞ্জাল সৃষ্টি করে গেছে, সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে সেগুলোকে এক বছরের মধ্যে সব ঠিক করে ফেলা এটা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়।” তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আসা পার্লামেন্টারি ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার দিকে নজর দেওয়ার কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সম্প্রতি স্বাক্ষরিত ‘ঐতিহাসিক জুলাই সনদ’কে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অনন্য ঘটনা। এই সনদে রাষ্ট্র কাঠামো পরিবর্তন, মূলনীতির সংশোধন এবং গণতন্ত্রকে স্বচ্ছ করা ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে উন্নত করার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
তিনি সংসদ ভবনের সামনে ছাত্র ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাকে ‘আনফরচুনেট ইনসিডেন্ট’ (দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা) বলে অভিহিত করেন। এই সময়ে এ ধরনের ঘটনাগুলো গণতন্ত্রকে সাহায্য করবে না এবং সকলের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা উচিত। তিনি আরও বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভালো কাজ করার চেষ্টা করছে, তবে এক বছরের মধ্যে সমস্ত জঞ্জাল দূর করা সম্ভব নয়।
শনিবার রাজধানীর গ্রীন রোডে পানি ভবনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সভা ও সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব হিসেবে মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুকে সভাপতি ও হুমায়ুন কবিরকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এছাড়া সম্মেলনে শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়কারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমদসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন। বিএনপি মহাসচিব পানি উন্নয়ন বোর্ড জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের দাবি-দাওয়ার প্রতি নিজের এবং তার দলের সমর্থনের কথাও ব্যক্ত করেন।